Friday, May 29, 2020

TMC minister Sadhan Pande lobbed the bomb at the right moment knowing that Mamata can't harm him



জেনে বুঝেই বোমটা মেরেছেন TMC মন্ত্রি সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pande) । মন্ত্রিত্ব যাবেনা । এই মুহূর্তে সেটা নেওয়ার ক্ষমতাও মমতার নেই । এটা সাধন পাণ্ডে ভালো ভাবে জানেন । পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ । দুর্বল সময়ে হিট করার সুযোগ ছাড়া  উচিৎ নয় । সেটাই করেছেন তিনি । দলের ভেতরে  নিজের বাজার দরটা বাড়ানোর জন্য ।   
গাছ কাটতে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে সাধন পাণ্ডে যা যা বলেছেন :
১)। ববি হাকিম অপদার্থ । চূড়ান্ত অপদার্থ ।
২)। ঝড়ের খবর এক সপ্তাহ আগে পাওয়ার পরও আমাদের কলকাতার বিধায়কদের সঙ্গে কোন পরামর্শটাও করেনি ।
৩)। সাড়ে ৫ হাজার গাছ কাটতে ২৫টা যন্ত্র !
৪) খলিল আহমেদ এর মত দক্ষ অফিসারদের সরিয়ে দিল !!
৫)। রেশন ব্যবস্থাতেও চূড়ান্ত দুর্নীতির আশ্রয় । কলকাতা কর্পোরেশনও তার শরিক।
৬) CESC র মনোপলি কেন থাকবে ? মুম্বাই এর মত tata আর best দুটো কোম্পানি থাকবে না কেন ?
     
অঙ্ক করে জল মেপে বলেলেন কথাগুলো । তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার মনের কথা এগুলো । সুব্রত মুখার্জি হাকিমকে একহাত নিয়েছিলেন ক'দিন আগেই । কাল নিলেন সাধন পাণ্ডে । শোভন চ্যাটার্জি, পার্থ চ্যাটার্জি প্রত্যেকেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হাকিমের চালে চলনে । সুব্রত মুখার্জি একান্তে সাংবাদিককে বলেওছেন - দক্ষিণ বঙ্গে এমনিতেই আমাদের ধ্বস শুরু হয়েছে । হাকিম কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতছেন ।   
কিন্তু যার বোঝার কথা তিনি কি বুঝছেন ? বুঝছেন । কিন্তু তাঁরও আজ আর করার কিছু নেই । হাতে বিকল্প কোন faceও নেই । ২০০৩ এ টালির চালে ঢিল মেরে যার রাজনৈতিক উত্থান তাকেতো পরম স্নেহে তিনিই তুলেছেন গাছে । একে minority face । তার ওপর গুণ্ডা control করার qualityটাও আছে । পাশাপাশি নিজস্বতা বলে কিছুই নেই । ফলে আনুগত্যে চিড় ধরবে না সহজে । আর এখন ডোবার এই সময়ে এই ধরণের লোকই দরকার । ফলে ফেলে দেওয়ার প্রশ্নই নেই । হাকিমকে সামনে রেখেই election এ যাবেন নেত্রী । এবং অবধারিত ভাবে ডুববেনও । দেওয়ালের লিখন স্পষ্ট । যদি না অলৌকিক কোন অংকে নৌকাডুবি আটকায় !!  
কলকাতা কর্পোরেশনের অন্দর মহলের খবর যারা রাখেন তারাও জানেন কি পরিমাণ চুরি হয় সেখানে । ২৪ হাজার পদ অপূর্ণ । দাদাদের দিদিদের নেতাদের ভাগ্নে ভাগ্নিতে ভর্তি contractual staff দিয়ে ঠেলে ঠুলে চলছে । শোভন  চট্টোপাধ্যায় কাজটা বুঝতেন । হাকিম বোঝার ভণিতা টা ভালো করেন । কথা বার্তা শুনলে মনে হবে কৃষ্টি সংস্কৃতির ঠিকাদার । কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শ্রী চৈতন্য আওড়ান । ওদিকে  হাবে ভাবে কেউ কেটা গোছের একটা ভাব । ‘ম্যায় হুঁ ডন’ স্টাইল নিয়ে চলা ফেরা করেন ।  দিদির ‘ববি’ । জোর করে  চাপিয়ে দেওয়া  ‘কলকাতার মুখ’ ।        
সেই মুখেই আজ শুনলাম - সাড়ে ৫ হাজার নয় সাড়ে ১৫ হাজার গাছ পড়েছে কলকাতায় । মানলাম, বুঝলামও । কিন্তু এটা বুঝতে হাকিমের সময় লাগালো সাত দিন ? সেনা নামাতে লাগল সত্তর ঘণ্টা ? enough is enough বলতে লাগলো ৯৬ ঘণ্টা ? রাস্তায় নিজেকে নামাতে লাগলো সাত দিন ? তাও আবার হাইড্রলিক ল্যাডার দিয়ে গাছ তোলার সময় cameraর ফ্রেমে থাকার জন্য ? 
ভাবছিলাম - কত পরীক্ষা দেবে এভাবে  কলকাতা ? দিন রাত জেগে, আলো না পেয়ে, জল না পেয়ে কলকাতার আবাল বৃদ্ধ বণিতা যখন পথ অবরোধ করেছেন তখন কোথায় ছিলেন হাকিম ? কোথায় ছিল কাউন্সিলর কিমবা বরো কমিটি ?? আড়ালে থেকে পড়ে যাওয়া গাছের কাঠের গুঁড়ি গুনছিলেন ? সওদার আশায় ?
১৩৫ কিলো মিটারের একটা ঝড় ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে গেল শহরের । কলকাতা কতটা সহ্য করতে পারে, তার । বুঝে গেল - জাতটা বাঙালি । ধাক্কা না মারলে ঘুম ভাঙে না এদের । expiry date ওভার হওয়া mayor এর পদে বসানো একটা অপদার্থকে ধীরে ধীরে গেলানো হচ্ছিল শহরকে ।   
Cyclone #Amphan চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেল এবার কাজটা কি কলকাতার মানুষের ।
.
.
.
Edited and reframed by #HowIndiaTravels. 
.
.
* Didir Kirti

No comments: