কংগ্রেসের টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি টুইট নিয়ে প্রচুর সোরগোল হচ্ছে ।
আমি অবাক হইনি । ২৬ তারিখ মমতা দিল্লী যাচ্ছেন ২ বছর বাদে । তার জন্য একটা হাইপ তৈরির দায়িত্ব ছিল পি কের ওপর। এটা তারই অঙ্গ । ইতিমধ্যেই বাংলা সংবাদ মাধ্যমের ন্যাকামি শুরু হয়েছে । কি হচ্ছে কি হচ্ছে ভাব । এবার বিমান ধরবেন, এবার সিঁড়ি দিয়ে নামবেন, এবার গাড়িতে উঠবেন, এবার অভিষেকের ফ্ল্যাটে ঢুকবেন, এবার ফোন ধরবেন, এবার একটু বিশ্রাম নেবেন, এবার ডেরেক, সুখেন্দু ঘরে ঢুকল, এবার সুদিপকে ডেকে নিলেন...........হাঁপাতে হাঁপাতে কাঁপতে কাঁপতে দৌড়তে দৌড়তে দিল্লী থেকে লাইভ কভারেজ । এদিকে কলকাতার স্টুডিওতে মহিলা এঙ্কর বলছেন তুমি আমাদের সঙ্গে থাক । আমাদের প্রতিনিধি বিজেন্দ্রর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে । বিজেন্দ্র তুমি বল কাল মমতা সেন্ট্রাল হলে যাবেন । সেন্ট্রাল হলের প্রস্তুতি কিরকম ? সাংসদরা কি আজ থেকেই রাতে থাকবেন ওখানে ......
টেক্কা দেওয়া কভারেজ । কে আগে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করবে তার দৌড় । দেখার মত এই পরীক্ষা দিচ্ছে চ্যানেল গুলো । মমতা যেদিন বলেছেন দিল্লী যাবেন সেদিন থেকেই এই "কাঙালের দিল্লী দর্শন" শুরু করেছে কিছু বাংলা সংবাদ মাধ্যম ।
এটাই পি কের স্ট্র্যাটেজি । ঠিক আগের দিন কংগ্রেসকে দিয়ে অভিষেককে নিয়ে তাই টুইট । আর অন্যদিকে বাংলায় সংবাদ মাধ্যমের হাইপ তোলার খেলা । দুয়ে মিলে জল গরম, চায়ের টেবিলের প্রস্তুতি । দিদি পি এম হবেন ।
সব বুঝলাম । বাস্তবতাটা কি ? তর্কের খাতিরে ২০২৪ এ ধরে নিলাম তৃণমূল ৪২ এ ৪২ পেল । তাতে কংগ্রেস ছাড়বে প্রধানমন্ত্রীর পদ ? বিরোধীরা ক্ষমতায় আসার অবস্থা হলে কংগ্রেসকে একক ভাবে অন্তত ১৪০ টি আসন পেতেই হবে । ১৪০ বড় না ৪২ বড় ? মাথা খুঁড়লেও সারা ভারতে তৃণমূলের পক্ষে শাখা খুলে, অফিস খুলে, টাকা ঢেলে একটি সাংসদ পাওয়াও কি সম্ভব ?
পি কে জানেন না ? বিহারে নীতিশকে টক্কর দিতে গিয়ে কি তার দশা হয়েছিল ? এর আগে তৃণমূল national হতে গিয়ে ৯ টি রাজ্যে শাখা খুলেছিল । একটি রাজ্যেও একজন পঞ্চায়েতও আজ তৃণমূলের নেই । তৃণমূলের পয়সা খরচ করে খোলা অফিস গুলোতে পানের দোকান, লস্যির দোকান হয়ে গেছে । বাংলা সংবাদ মাধ্যম জানে না এসব ?
তাহলে ? তাহলেও এই আদিখ্যেতা চলবে । কারণ চ্যানেলে, সংবাদপত্রে নবান্নের প্রণামীটা দরকার । যেটা মমতা দেন । ভালো পরিমাণে । সেই ইতিহাস,প্রমান বারবার দিয়েছি, ডকুমেন্ট সহ একাধিক বার এই ওয়ালেই লিখেছি ।
আমায় ভাবাচ্ছে অন্য একটি বিষয় । কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের ফাইনাল সেটলমেন্টটা এবারই শুরু হবে । ২০২৪ এ কংগ্রেস - তৃণমূল জোট প্রক্রিয়া শুরু করে দেবেন সোনিয়া মমতা । বাংলায় সি পি এম তখন কি করবে ?
এরাজ্যে কংগ্রেস এখন সত্তরের দশকের বাংলা কংগ্রেসের দশার থেকেও খারাপ অবস্থায় । তাও সি পি এম দক্ষিণ পন্থী ভোট পাওয়ার আশায় কংগ্রেসকে জোট সঙ্গী করে ২০২১ এও ৯৪ টা আসনে কংগ্রেসের হয়ে প্রাণপন খাটল, প্রচার করল । দলের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি থাকা সত্বেও সূর্য বাবু, বিমান বাবুরা জোটকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন । লড়লেন । আশায় ছিলেন । নেট রেজাল্ট হল জিরো । আবারও দলের মধ্যে দাবী উঠল বিচ্ছেদের । তাকে অগ্রাহ্য করে অবস্থার প্রেক্ষিত বোঝানোর উদ্যোগ নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিপদ বুঝিয়ে গণতান্ত্রিক জোটের পথেই রইলেন বঙ্গ সি পি এম । ঘোষণাও করলেন সেই মোতাবেক ।
এখন তাহলে কি হবে তাঁদের ? কংগ্রেস তাদের হাত ছাড়বে এটা ঘটনা পরম্পরায় সত্যি হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা । সি পি এম এখন কি বোঝাবে কর্মীদের ? যাঁরা দলের মধ্যে এই লাইনের বিরোধী ছিলেন তাঁদের ? সূর্যবাবুরা রাজ্য কমিটির মিটিং ডেকে সেন্ট্রাল কমিটিতে রিপোর্ট জমা দেবেন । সেন্ট্রাল কমিটি তা পাঠাবে পলিটব্যুরোর মিটিংয়ে । কি লেখা থাকবে সেই রিপোর্টে ? কংগ্রেস বেইমানি করেছে ? রাখা বিশ্বাসের মর্যাদা দেয়নি, তাইতো ? সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে মুখটা কতটা পুড়বে ভেবেছেন একবারও নেতারা ?
আসলে গান্ধী পরিবারের ইচ্ছেটা তাঁরা জানতেন । কিন্তু ইগনোর করেছেন অবস্থা এবং সময়ের প্রেক্ষিতে । সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কা বরাবরই মমতার সারথী করতে চেয়েছেন শতবর্ষ প্রাচীন প্রতিবন্ধী বাংলার এই কংগ্রেসকে । তীব্র তৃণমূল বিরোধিতার স্ট্যান্ড তাঁদের না পসন্দ । অধীর চৌধুরীর লাইনকে তারা অনিচ্ছায় সমর্থন করেছেন । ২০২১ এ মহাশূন্যে তলিয়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙেছে তাঁদের ।বামেদের সঙ্গ ত্যাগ তাই সময়ের অপেক্ষা । সেই ম্যাচেরই হুইসিল বাজাবেন সোনিয়া মমতার সঙ্গে বৈঠকে । পি কে যার প্রস্তুতি সেরে গেছেন সপ্তাহ খানেক আগে ।
এই আবহেই দিল্লী যাত্রা মমতার, সর্বভারতীয় নেত্রী হতে । সি এম থেকে পি এম হতে । ২১ জুলাই পাওয়ার, চিদম্বরম, দিগ্বিজয়কে কনস্টিটিউশন ক্লাবে নিয়ে গিয়ে কলকাতা থেকে শুনিয়েছেন হিন্দী, ইংরেজী বাংলা মেশানো রোমহর্ষক সেই জগাখিচুড়ী বক্তৃতা । তাঁরাও শুনছেন, আমরাও শুনেছি । আমিও মন দিয়ে শুনেছি সেদিন তাঁর দেওয়া বক্তৃতা ।
আর মনে মনে ফিরে গেছি শৈশবের এক সন্ধ্যায় । পরিবারের সঙ্গে দেখতে গিয়েছিলাম রঙ্গনায় জহর রায়ের " আমি মন্ত্রী হব " নাটকটি । মনে পড়ছে ৪৫ বছর আগের সেই দৃশ্য, মন্ত্রী হতে না পারায় মঞ্চে জহর রায়ের অঝোরে গগন বিদীর্ণ করা সেই কান্না । দর্শকের আসনে বসে সবাই আমরা কেঁদে ছিলাম । এক অতৃপ্ত বাসনার এমন অপমৃত্যু চোখে জল এনে দিয়েছিল সবার ।
স্বপ্ন ভাল, স্বপ্নের অপমৃত্যু বড়ই যন্ত্রণার ।।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
আমি অবাক হইনি । ২৬ তারিখ মমতা দিল্লী যাচ্ছেন ২ বছর বাদে । তার জন্য একটা হাইপ তৈরির দায়িত্ব ছিল পি কের ওপর। এটা তারই অঙ্গ । ইতিমধ্যেই বাংলা সংবাদ মাধ্যমের ন্যাকামি শুরু হয়েছে । কি হচ্ছে কি হচ্ছে ভাব । এবার বিমান ধরবেন, এবার সিঁড়ি দিয়ে নামবেন, এবার গাড়িতে উঠবেন, এবার অভিষেকের ফ্ল্যাটে ঢুকবেন, এবার ফোন ধরবেন, এবার একটু বিশ্রাম নেবেন, এবার ডেরেক, সুখেন্দু ঘরে ঢুকল, এবার সুদিপকে ডেকে নিলেন...........হাঁপাতে হাঁপাতে কাঁপতে কাঁপতে দৌড়তে দৌড়তে দিল্লী থেকে লাইভ কভারেজ । এদিকে কলকাতার স্টুডিওতে মহিলা এঙ্কর বলছেন তুমি আমাদের সঙ্গে থাক । আমাদের প্রতিনিধি বিজেন্দ্রর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে । বিজেন্দ্র তুমি বল কাল মমতা সেন্ট্রাল হলে যাবেন । সেন্ট্রাল হলের প্রস্তুতি কিরকম ? সাংসদরা কি আজ থেকেই রাতে থাকবেন ওখানে ......
টেক্কা দেওয়া কভারেজ । কে আগে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করবে তার দৌড় । দেখার মত এই পরীক্ষা দিচ্ছে চ্যানেল গুলো । মমতা যেদিন বলেছেন দিল্লী যাবেন সেদিন থেকেই এই "কাঙালের দিল্লী দর্শন" শুরু করেছে কিছু বাংলা সংবাদ মাধ্যম ।
এটাই পি কের স্ট্র্যাটেজি । ঠিক আগের দিন কংগ্রেসকে দিয়ে অভিষেককে নিয়ে তাই টুইট । আর অন্যদিকে বাংলায় সংবাদ মাধ্যমের হাইপ তোলার খেলা । দুয়ে মিলে জল গরম, চায়ের টেবিলের প্রস্তুতি । দিদি পি এম হবেন ।
সব বুঝলাম । বাস্তবতাটা কি ? তর্কের খাতিরে ২০২৪ এ ধরে নিলাম তৃণমূল ৪২ এ ৪২ পেল । তাতে কংগ্রেস ছাড়বে প্রধানমন্ত্রীর পদ ? বিরোধীরা ক্ষমতায় আসার অবস্থা হলে কংগ্রেসকে একক ভাবে অন্তত ১৪০ টি আসন পেতেই হবে । ১৪০ বড় না ৪২ বড় ? মাথা খুঁড়লেও সারা ভারতে তৃণমূলের পক্ষে শাখা খুলে, অফিস খুলে, টাকা ঢেলে একটি সাংসদ পাওয়াও কি সম্ভব ?
পি কে জানেন না ? বিহারে নীতিশকে টক্কর দিতে গিয়ে কি তার দশা হয়েছিল ? এর আগে তৃণমূল national হতে গিয়ে ৯ টি রাজ্যে শাখা খুলেছিল । একটি রাজ্যেও একজন পঞ্চায়েতও আজ তৃণমূলের নেই । তৃণমূলের পয়সা খরচ করে খোলা অফিস গুলোতে পানের দোকান, লস্যির দোকান হয়ে গেছে । বাংলা সংবাদ মাধ্যম জানে না এসব ?
তাহলে ? তাহলেও এই আদিখ্যেতা চলবে । কারণ চ্যানেলে, সংবাদপত্রে নবান্নের প্রণামীটা দরকার । যেটা মমতা দেন । ভালো পরিমাণে । সেই ইতিহাস,প্রমান বারবার দিয়েছি, ডকুমেন্ট সহ একাধিক বার এই ওয়ালেই লিখেছি ।
আমায় ভাবাচ্ছে অন্য একটি বিষয় । কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের ফাইনাল সেটলমেন্টটা এবারই শুরু হবে । ২০২৪ এ কংগ্রেস - তৃণমূল জোট প্রক্রিয়া শুরু করে দেবেন সোনিয়া মমতা । বাংলায় সি পি এম তখন কি করবে ?
এরাজ্যে কংগ্রেস এখন সত্তরের দশকের বাংলা কংগ্রেসের দশার থেকেও খারাপ অবস্থায় । তাও সি পি এম দক্ষিণ পন্থী ভোট পাওয়ার আশায় কংগ্রেসকে জোট সঙ্গী করে ২০২১ এও ৯৪ টা আসনে কংগ্রেসের হয়ে প্রাণপন খাটল, প্রচার করল । দলের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি থাকা সত্বেও সূর্য বাবু, বিমান বাবুরা জোটকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন । লড়লেন । আশায় ছিলেন । নেট রেজাল্ট হল জিরো । আবারও দলের মধ্যে দাবী উঠল বিচ্ছেদের । তাকে অগ্রাহ্য করে অবস্থার প্রেক্ষিত বোঝানোর উদ্যোগ নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিপদ বুঝিয়ে গণতান্ত্রিক জোটের পথেই রইলেন বঙ্গ সি পি এম । ঘোষণাও করলেন সেই মোতাবেক ।
এখন তাহলে কি হবে তাঁদের ? কংগ্রেস তাদের হাত ছাড়বে এটা ঘটনা পরম্পরায় সত্যি হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা । সি পি এম এখন কি বোঝাবে কর্মীদের ? যাঁরা দলের মধ্যে এই লাইনের বিরোধী ছিলেন তাঁদের ? সূর্যবাবুরা রাজ্য কমিটির মিটিং ডেকে সেন্ট্রাল কমিটিতে রিপোর্ট জমা দেবেন । সেন্ট্রাল কমিটি তা পাঠাবে পলিটব্যুরোর মিটিংয়ে । কি লেখা থাকবে সেই রিপোর্টে ? কংগ্রেস বেইমানি করেছে ? রাখা বিশ্বাসের মর্যাদা দেয়নি, তাইতো ? সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে মুখটা কতটা পুড়বে ভেবেছেন একবারও নেতারা ?
আসলে গান্ধী পরিবারের ইচ্ছেটা তাঁরা জানতেন । কিন্তু ইগনোর করেছেন অবস্থা এবং সময়ের প্রেক্ষিতে । সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কা বরাবরই মমতার সারথী করতে চেয়েছেন শতবর্ষ প্রাচীন প্রতিবন্ধী বাংলার এই কংগ্রেসকে । তীব্র তৃণমূল বিরোধিতার স্ট্যান্ড তাঁদের না পসন্দ । অধীর চৌধুরীর লাইনকে তারা অনিচ্ছায় সমর্থন করেছেন । ২০২১ এ মহাশূন্যে তলিয়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙেছে তাঁদের ।বামেদের সঙ্গ ত্যাগ তাই সময়ের অপেক্ষা । সেই ম্যাচেরই হুইসিল বাজাবেন সোনিয়া মমতার সঙ্গে বৈঠকে । পি কে যার প্রস্তুতি সেরে গেছেন সপ্তাহ খানেক আগে ।
এই আবহেই দিল্লী যাত্রা মমতার, সর্বভারতীয় নেত্রী হতে । সি এম থেকে পি এম হতে । ২১ জুলাই পাওয়ার, চিদম্বরম, দিগ্বিজয়কে কনস্টিটিউশন ক্লাবে নিয়ে গিয়ে কলকাতা থেকে শুনিয়েছেন হিন্দী, ইংরেজী বাংলা মেশানো রোমহর্ষক সেই জগাখিচুড়ী বক্তৃতা । তাঁরাও শুনছেন, আমরাও শুনেছি । আমিও মন দিয়ে শুনেছি সেদিন তাঁর দেওয়া বক্তৃতা ।
আর মনে মনে ফিরে গেছি শৈশবের এক সন্ধ্যায় । পরিবারের সঙ্গে দেখতে গিয়েছিলাম রঙ্গনায় জহর রায়ের " আমি মন্ত্রী হব " নাটকটি । মনে পড়ছে ৪৫ বছর আগের সেই দৃশ্য, মন্ত্রী হতে না পারায় মঞ্চে জহর রায়ের অঝোরে গগন বিদীর্ণ করা সেই কান্না । দর্শকের আসনে বসে সবাই আমরা কেঁদে ছিলাম । এক অতৃপ্ত বাসনার এমন অপমৃত্যু চোখে জল এনে দিয়েছিল সবার ।
স্বপ্ন ভাল, স্বপ্নের অপমৃত্যু বড়ই যন্ত্রণার ।।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
Copied verbatim from the Facebook wall post of Sanmoy Banerjee dated 2021-07-26
No comments:
Post a Comment