আজকে (Friday 2023-08-04) বেহালায় Class 2 শিশু মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য (হ্যাঁ, মৃত্যুর চেয়েও উল্লেখযোগ্য) লেগেছে স্কুলটির প্রধানশিক্ষক মহাশয়ের কাঁদতে কাঁদতে বলা, ওনারা বহুদিন ধরে আবেদন করেছেন স্কুলে প্রবেশের রাস্তার সামনে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য৷ পুলিশ পাত্তা দেয়নি। বরং কাছেই রয়েছে এম.পি.বিড়লা স্কুল, ন্যাশনাল জেমস স্কুল ইত্যাদি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে পুলিশ নাকি বিপুল ব্যবস্থা রেখেছে বাচ্চাদের সুরক্ষার। অনেক পুলিশ মোতায়েন থাকেন সেখানে। ট্র্যাফিক কন্ট্রোল করা হয় ছাত্রছাত্রীদের ঢোকার সময়। উনি আরও বলছেন, আমাদের স্কুলে তো আর চার চাকায় স্টুডেন্ট আসে না৷ হেঁটে আসে, সাইকেলে আসে। তাই এই বৈষম্য, বঞ্চনা, নিষ্ক্রিয়তা।
কদিন আগে বিড়লা স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসে অ্যাডমিশন ফীজ দেখেছিলাম৷ ভয় ধরানোর মতো সংখ্যা সব। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে পড়ে বিত্তশালীদের সন্তানরা। স্বাভাবিকভাবেই, তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ-প্রশাসন অধিক তৎপর হবেন৷ এসব জিনিস নিয়ে একজন আধবুড়ো মাস্টারমশাই হাউহাউ করে কাঁদলেন। আচ্ছা এই বয়েসেও বোঝেননি, গরীবের বাচ্চাদের প্রাণের মূল্য কতখানি হওয়া উচিৎ? শিক্ষক হয়ে উনি জানেন না রাজ্যে সুচারু পরিকল্পনার সাথে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে সরকারি স্কুলশিক্ষা, স্কুলের কাঠামো? উনি বোঝেন না অভাবী পরিবারের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আর পূর্বের মতো যোগ্যতার বিচারে বেঁচে থাকার, সফল হবার অধিকার আগামী দিনে থাকবে না? সর্বস্তরে পিষে মরাই তাদের "স্বাভাবিক পরিণতি"৷ অদ্ভুত বোকা লোক তো....
✍অভিজিৎ বসাক
No comments:
Post a Comment