ক'দিন বিশ্রাম নেব । লিখব না কিছু রাত জেগে । ভেবেছিলাম ।
মমতা ভাঙিয়ে ছাড়লেন । একপ্রকার বাধ্য করলেন । সারা দিন এত ইরিটেশন করালেন কলম ধরলাম বাধ্য হয়ে ।
সেই আবার ম্যান মেড বন্যার হাঁক । ইদানিং বেড়েছে এই ডাকটা । ক দিন আগে হাওড়া, হুগলী, ঘাটাল যখন ডুবেছিল এই হাঁকটাই দিয়েছিলেন । বলেছিলেন ডি ভি সি না বলে জল ছেড়েছে, তাই বন্যা ।
সামনে পেলে জিজ্ঞাসা করতাম বলে ছাড়লে কি করতেন ? জলের স্রোত ঘুরিয়ে দিতেন ? নাকি বলতেন জল ছাড়া যাবে না । তাতে ডি ভি সি ব্যারেজ ভাঙে ভাঙুক ।
আপনি সব পারেন । মিথ্যে কথা বলাটা আপনার ধাত । যেমন আজও বললেন, কি নির্লজ্জ ভাবে ! ডি ভি সি যে প্রতিদিন সকালে নবান্নে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পাঠায় স্বীকার করবেন ? ক্ষমতা আছে ? এটা স্বীকার করার মধ্য কোন এক্সট্রা সততার প্রয়োজন হয় না । যেটা প্রয়োজন হয় সেটা হল বেসিক honesty যেটাও কি অনায়াসে খুইয়েছেন । আমি বলছি প্রতিদিন ডি ভি সি থেকে চিফ সেক্রেটারির ঘরে মেল আসে । অস্বীকার করবেন ? আমি বলছি জল ছাড়ার empowerment committe তে রাজ্যের তরফে সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন । অস্বীকার করুন । আমি বলছি সবার সম্মতি নিয়ে তবে জল ছাড়া হয় । ৩০ তারিখ সকাল সোয়া দশটায় নবান্নে মেল ঢোকে, ২৯ তারিখ সকাল ১০ টা ৩৬ এ মেল ঢোকে । অস্বীকার করুন সব কিছু ? পারবেন উত্তর দিতে ।
ড: সুকান্ত মজুমদারের কাছে ডি ভি সি কর্তৃপক্ষ আগের দিনেই বার্তা পাঠান আমরা কিন্তু রাজ্যের কনসেন্ট নিয়েই জল ছেড়েছি । চিফ ইঞ্জিিয়ার জানেন সব । দেখবেন কাল ম্যাডাম উল্টো টাই বলবেন ।
ঠিক তাই হল । ডি ভি সি না বলে জল ছেড়েছে বলে ফুঁপিয়ে কান্না । অনেকটা সেই ববি হাকিম স্টাইলে কান্না । ওরা আমাকে বাঁচাতে দিল না । ববি সেদিন কলকাতা নিয়ে বলেছিলেন । ইনি রাজ্য নিয়ে । ভাবখানা এমনই । অডিও ক্লিপে ।
তা সামনে এলেন না কেন ? ধরা পড়ে যাবেন বলে ? চোখে, মুখে এক্সপ্রেশনে । তাই ? বিশ্ব মজুমদারকে দিয়ে ছড়ালেন ক্লিপটা ! সব চ্যানেলে । সরকার serious এটা বোঝাতে ?
আর সেই ক্লিপে কি না বকবক করলেন । বললেন ২ লক্ষ "মেট্রিক" টন জলের কথা । জলে মেট্রিক কথাটা যে হয় না আই প্যাকের আপনাকে ট্রেনিং দেওয়ার প্যাকেজে বোধ হয় সেটা ছিল না । তাই হয়তো বললেন না বুঝেই । অপদার্থতা ঢাকতে ।
আরও বললেন আমি আর চিফ সেক্রেটারির মিলে দুর্যোগ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কনস্ট্যান্ট যোগাযোগ রেখেছি । এটা রেখে কি নতুন কিছু করেছেন নাকি ?
পরের প্রশ্ন এত যোগাযোগ রাখলেন তো আগে লোকগুলোকে রেসকিউ করেননি কেন ? প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ কি ভাবে রাত জাগছেন ভেবেছেন একবারও ? ভাবার সময় ছিল ? তখন তো ভবানীপুরে "নন" থেকে এম এল এ হওয়ার প্ল্যানিং নিয়ে ব্যস্ত !
এদিকে সাত দিন ধরে ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হচ্ছে । আবহাওয়া দফতরের খবর আসছে । যে কোন মুহুর্তে জল ঢুকবে এরাজ্যের কাকেরাও জানতো । আপনি নাকি জানেন না ! বিশ্বাস করতে হবে ? আপনার অফিস নাকি জানে না ! সব জেনেও কি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন আগাম বলুন ? উত্তর আছে ?
যেমন ভাবে আজও উত্তর নেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নবান্নের সেই অমর কীর্তির । আনন্দবাজার, এই সময় এসব নিয়ে লিখবেনা । ঘণ্টা খানেক, ক্রস ফায়ার কিম্বা জনতার দরবার এই তথ্যগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করবেনা । গ্যারান্টেড ।
কি তথ্য শুনবেন ?
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে বন্যা আটকানোর জন্য ২০১৮ সালে রাজ্য বাজেটে রাজ্যের দেও ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল । রাজ্য শেষ পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা খরচ করার জন্য দিয়েও শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে তার অর্ধেকটাই খরচ হয়নি । ২০১৯-২০ সালে রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৬০ কোটি টাকা । শেষে এক টাকাও খরচ হয়নি । আর এ বছরের রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ১১৫ কোটি টাকা । কিন্তু নবান্নের অর্থ দফতর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা । সেই টাকার শেষ পর্যন্ত গতি মুক্তি কোথায় গিয়ে থেমে আছে নবান্নের কোন আধিকারিকই আজও জানেন না ।
মুখ্যমন্ত্রী, কোন উত্তর আছে আপনার ? নেই । থাকবেও না এটা নিশ্চিত ।
এক একটা করে বন্যা বাংলায় আসবে । দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য আপনি নিয়ম করে ম্যান মেড তত্ব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করবেন । তাবড় মিডিয়া জোগাড় করে গোড়ালি জলে দাঁড়িয়ে " খিঁচ মেরী ফোটো " সেশন দেবেন । আর বছর ঘুরলে হাওড়া, হুগলী, বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুই মেদনিপুর ভাসবে, মানুষ মরবে গরু ছাগলের মত । আর আপনি বাংলার এক শ্রেণীর মিডিয়া ম্যানেজ করে ভন্ডামি বাড়াবেন ।
আপনি জানতেন ভাসতে চলেছে বাংলা । তখন কোথায় ছিল আপনার ববি, অরূপ, সুব্রত, কল্যাণ ? সবাইতো ভবানীপুরে দুই হাঁটু জুড়ে বসেছিল । ঠিক কি না বলুন ?
আজ বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলির মানুষগুলো যখন জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে তখন তাঁদের পাঠাচ্ছেন ! বিপদ আসছে আশঙ্কা মাথায় রেখে আগাম পাঠানো যেত না তাঁদের ঠিক সেই সময়ে ? তুলে আনা যেত না ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোকে ? ভেবে দেখেছেন কখনো ? একবারও ?
ভাববেন কি করে ? তখন নবান্নে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দল বদল করিয়ে ভাইপোকে পাশে নিয়ে হাসি হাসি মুখে " খিঁচ মেরী ফোটো " সেশন দিচ্ছিলেন ।
আজ যখন কয়েক লাখ মানুষ ডুবছে ভন্ডামিটা আবার নতুন করে শুরু করেছেন । ক্লাব খেলা মেলা মচ্ছপে গত কয়েক বছরে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা । যা দিয়ে বাংলায় ১০ টা মাস্টার প্ল্যান অনায়াসে রূপায়ণ করে দেওয়া যেত ।
কে করবেন এই প্রশ্নগুলো তাঁর মুখের ওপর ? যাঁরা করতে পারতেন তাঁরা এখন গোড়ালি জলের ফোটো সেশনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হবেন । এ বি পি আনন্দের আসাফুলরা গলা কাঁপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেজার ধারা বিবরণী দেবেন । আর স্টুডিও তে বসে সংবাদ পাঠিকা বলে যাবেন তারপর, আসাফুল তারপর, বল বল তুমি ঠিক কি দেখছ তুমি ? মুখ্যমন্ত্রীর কি জলে পা রেখেছেন ? কি হল তুমি আসাফুল বল তুমি চুপ কেন ? উত্তেজনায় আসা ফুলের গলা ততক্ষনে রুদ্ধ । কথা বেরোচ্ছে না । মুখ্যমন্ত্রী ততক্ষনে সবাইকে চমকে দিয়ে জলে পা রেখেছেন ।
সেই জল, যা এই আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই কেড়ে নিয়ে গেছে সাত দিনে শুধু ঘাটাল মহকুমাতেই ৯ টি তারতজা প্রাণ ।
সেই জলও আজ ধন্য, এবার কি বলবে আসাফুল ,! বল আসাফুল বল, চুপ করে থেক না । বল প্লিজ । আবেগ দিয়ে বল ।
শুনতে চাইছে বাংলা ।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
মমতা ভাঙিয়ে ছাড়লেন । একপ্রকার বাধ্য করলেন । সারা দিন এত ইরিটেশন করালেন কলম ধরলাম বাধ্য হয়ে ।
সেই আবার ম্যান মেড বন্যার হাঁক । ইদানিং বেড়েছে এই ডাকটা । ক দিন আগে হাওড়া, হুগলী, ঘাটাল যখন ডুবেছিল এই হাঁকটাই দিয়েছিলেন । বলেছিলেন ডি ভি সি না বলে জল ছেড়েছে, তাই বন্যা ।
সামনে পেলে জিজ্ঞাসা করতাম বলে ছাড়লে কি করতেন ? জলের স্রোত ঘুরিয়ে দিতেন ? নাকি বলতেন জল ছাড়া যাবে না । তাতে ডি ভি সি ব্যারেজ ভাঙে ভাঙুক ।
আপনি সব পারেন । মিথ্যে কথা বলাটা আপনার ধাত । যেমন আজও বললেন, কি নির্লজ্জ ভাবে ! ডি ভি সি যে প্রতিদিন সকালে নবান্নে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পাঠায় স্বীকার করবেন ? ক্ষমতা আছে ? এটা স্বীকার করার মধ্য কোন এক্সট্রা সততার প্রয়োজন হয় না । যেটা প্রয়োজন হয় সেটা হল বেসিক honesty যেটাও কি অনায়াসে খুইয়েছেন । আমি বলছি প্রতিদিন ডি ভি সি থেকে চিফ সেক্রেটারির ঘরে মেল আসে । অস্বীকার করবেন ? আমি বলছি জল ছাড়ার empowerment committe তে রাজ্যের তরফে সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন । অস্বীকার করুন । আমি বলছি সবার সম্মতি নিয়ে তবে জল ছাড়া হয় । ৩০ তারিখ সকাল সোয়া দশটায় নবান্নে মেল ঢোকে, ২৯ তারিখ সকাল ১০ টা ৩৬ এ মেল ঢোকে । অস্বীকার করুন সব কিছু ? পারবেন উত্তর দিতে ।
ড: সুকান্ত মজুমদারের কাছে ডি ভি সি কর্তৃপক্ষ আগের দিনেই বার্তা পাঠান আমরা কিন্তু রাজ্যের কনসেন্ট নিয়েই জল ছেড়েছি । চিফ ইঞ্জিিয়ার জানেন সব । দেখবেন কাল ম্যাডাম উল্টো টাই বলবেন ।
ঠিক তাই হল । ডি ভি সি না বলে জল ছেড়েছে বলে ফুঁপিয়ে কান্না । অনেকটা সেই ববি হাকিম স্টাইলে কান্না । ওরা আমাকে বাঁচাতে দিল না । ববি সেদিন কলকাতা নিয়ে বলেছিলেন । ইনি রাজ্য নিয়ে । ভাবখানা এমনই । অডিও ক্লিপে ।
তা সামনে এলেন না কেন ? ধরা পড়ে যাবেন বলে ? চোখে, মুখে এক্সপ্রেশনে । তাই ? বিশ্ব মজুমদারকে দিয়ে ছড়ালেন ক্লিপটা ! সব চ্যানেলে । সরকার serious এটা বোঝাতে ?
আর সেই ক্লিপে কি না বকবক করলেন । বললেন ২ লক্ষ "মেট্রিক" টন জলের কথা । জলে মেট্রিক কথাটা যে হয় না আই প্যাকের আপনাকে ট্রেনিং দেওয়ার প্যাকেজে বোধ হয় সেটা ছিল না । তাই হয়তো বললেন না বুঝেই । অপদার্থতা ঢাকতে ।
আরও বললেন আমি আর চিফ সেক্রেটারির মিলে দুর্যোগ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কনস্ট্যান্ট যোগাযোগ রেখেছি । এটা রেখে কি নতুন কিছু করেছেন নাকি ?
পরের প্রশ্ন এত যোগাযোগ রাখলেন তো আগে লোকগুলোকে রেসকিউ করেননি কেন ? প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ কি ভাবে রাত জাগছেন ভেবেছেন একবারও ? ভাবার সময় ছিল ? তখন তো ভবানীপুরে "নন" থেকে এম এল এ হওয়ার প্ল্যানিং নিয়ে ব্যস্ত !
এদিকে সাত দিন ধরে ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হচ্ছে । আবহাওয়া দফতরের খবর আসছে । যে কোন মুহুর্তে জল ঢুকবে এরাজ্যের কাকেরাও জানতো । আপনি নাকি জানেন না ! বিশ্বাস করতে হবে ? আপনার অফিস নাকি জানে না ! সব জেনেও কি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন আগাম বলুন ? উত্তর আছে ?
যেমন ভাবে আজও উত্তর নেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে নবান্নের সেই অমর কীর্তির । আনন্দবাজার, এই সময় এসব নিয়ে লিখবেনা । ঘণ্টা খানেক, ক্রস ফায়ার কিম্বা জনতার দরবার এই তথ্যগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করবেনা । গ্যারান্টেড ।
কি তথ্য শুনবেন ?
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে বন্যা আটকানোর জন্য ২০১৮ সালে রাজ্য বাজেটে রাজ্যের দেও ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল । রাজ্য শেষ পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা খরচ করার জন্য দিয়েও শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে তার অর্ধেকটাই খরচ হয়নি । ২০১৯-২০ সালে রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৬০ কোটি টাকা । শেষে এক টাকাও খরচ হয়নি । আর এ বছরের রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ১১৫ কোটি টাকা । কিন্তু নবান্নের অর্থ দফতর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা । সেই টাকার শেষ পর্যন্ত গতি মুক্তি কোথায় গিয়ে থেমে আছে নবান্নের কোন আধিকারিকই আজও জানেন না ।
মুখ্যমন্ত্রী, কোন উত্তর আছে আপনার ? নেই । থাকবেও না এটা নিশ্চিত ।
এক একটা করে বন্যা বাংলায় আসবে । দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য আপনি নিয়ম করে ম্যান মেড তত্ব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করবেন । তাবড় মিডিয়া জোগাড় করে গোড়ালি জলে দাঁড়িয়ে " খিঁচ মেরী ফোটো " সেশন দেবেন । আর বছর ঘুরলে হাওড়া, হুগলী, বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুই মেদনিপুর ভাসবে, মানুষ মরবে গরু ছাগলের মত । আর আপনি বাংলার এক শ্রেণীর মিডিয়া ম্যানেজ করে ভন্ডামি বাড়াবেন ।
আপনি জানতেন ভাসতে চলেছে বাংলা । তখন কোথায় ছিল আপনার ববি, অরূপ, সুব্রত, কল্যাণ ? সবাইতো ভবানীপুরে দুই হাঁটু জুড়ে বসেছিল । ঠিক কি না বলুন ?
আজ বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলির মানুষগুলো যখন জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে তখন তাঁদের পাঠাচ্ছেন ! বিপদ আসছে আশঙ্কা মাথায় রেখে আগাম পাঠানো যেত না তাঁদের ঠিক সেই সময়ে ? তুলে আনা যেত না ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোকে ? ভেবে দেখেছেন কখনো ? একবারও ?
ভাববেন কি করে ? তখন নবান্নে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দল বদল করিয়ে ভাইপোকে পাশে নিয়ে হাসি হাসি মুখে " খিঁচ মেরী ফোটো " সেশন দিচ্ছিলেন ।
আজ যখন কয়েক লাখ মানুষ ডুবছে ভন্ডামিটা আবার নতুন করে শুরু করেছেন । ক্লাব খেলা মেলা মচ্ছপে গত কয়েক বছরে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা । যা দিয়ে বাংলায় ১০ টা মাস্টার প্ল্যান অনায়াসে রূপায়ণ করে দেওয়া যেত ।
কে করবেন এই প্রশ্নগুলো তাঁর মুখের ওপর ? যাঁরা করতে পারতেন তাঁরা এখন গোড়ালি জলের ফোটো সেশনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হবেন । এ বি পি আনন্দের আসাফুলরা গলা কাঁপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পা ভেজার ধারা বিবরণী দেবেন । আর স্টুডিও তে বসে সংবাদ পাঠিকা বলে যাবেন তারপর, আসাফুল তারপর, বল বল তুমি ঠিক কি দেখছ তুমি ? মুখ্যমন্ত্রীর কি জলে পা রেখেছেন ? কি হল তুমি আসাফুল বল তুমি চুপ কেন ? উত্তেজনায় আসা ফুলের গলা ততক্ষনে রুদ্ধ । কথা বেরোচ্ছে না । মুখ্যমন্ত্রী ততক্ষনে সবাইকে চমকে দিয়ে জলে পা রেখেছেন ।
সেই জল, যা এই আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই কেড়ে নিয়ে গেছে সাত দিনে শুধু ঘাটাল মহকুমাতেই ৯ টি তারতজা প্রাণ ।
সেই জলও আজ ধন্য, এবার কি বলবে আসাফুল ,! বল আসাফুল বল, চুপ করে থেক না । বল প্লিজ । আবেগ দিয়ে বল ।
শুনতে চাইছে বাংলা ।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
No comments:
Post a Comment