Tuesday, August 19, 2025


এর নাম মহম্মদ রফিক। এখনও কলকাতার রাস্তায় রিক্সা চালান।  বয়স ৮৬ বছর। একে দেখতে পাবেন বৌবাজার চত্ত্বরে।  
না এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। নতুন হলো ১৯৪৬ এর দাঙ্গায় এই লোকটির প্রান বাঁচিয়েছিলেন যে মানুষটি তার নাম গোপাল মুখার্জি বা গোপাল পাঁঠা।  শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। 
এই বৃদ্ধ এখন ও প্রতিদিন কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরন করে গোপাল পাঁঠাকে।    
বিবেক অগ্নিহোত্রীর বেঙ্গল ফাইলস এর পর কলকাতার বাম বুদ্ধিজীবী আর অভিনেতাদের রুদালি দেখে মনে হচ্ছে এমন কান্না তারা বহুদিন কাঁদেনি। হাঁপিয়ে কান্না,  ফুঁপিয়ে কান্না, চিৎকার করে কান্না,  লুকিয়ে কান্না সব দেখা যাচ্ছে।  কারন সত্যি সামনে আসছে। 
১৯৪৬ এর ১৬,  ১৭,  ১৮ আগষ্ট কলকাতায় নির্বিচারে হিন্দু হত্যা হয়েছিল। এর জন্য বাইরে থেকে প্রচুর গুণ্ডা।  এনেছিলেন সুরাবর্দি।  নেতৃত্বে ছিলেন মুন্না চৌধুরী আর মিনা পাঞ্জাবী।  
আর এই দাঙ্গায় পূর্ন সমর্থন ছিল সেই সময়ের কম্যুনিষ্ট পার্টির।এক হয়ে গিয়েছিল লাল ঝাণ্ডা আর দাঙ্গার ঝান্ডা।  
সহজ কথা এই দুই হিংস্র শুয়োরের থেকে কলকাতাকে বাঁচিয়েছেন গোপাল মুখার্জি। বিপ্লবী অনুকুল মুখার্জির ভাইপো। আর কলকাতার হিন্দুদের সংগে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল বাংলার কম্যুনিষ্টরা।  
কলকাতার দুটো পাতি বুদ্ধিজীবী কি বললো,  তিন পয়সার অভিনেতা কি বললো তাতে কান দেবেন না। সেদিনের প্রত্যক্ষদর্শী ব্রিটিশ সাংবাদিক ফিলিপ টালবার্ট এর বিস্তারিত লেখা আছে, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা পত্র আছে,  জাতীয় গ্রন্থাগারে প্রচুর তথ্য ভান্ডার আছে।  সে গুলোকে জানুন।  
দেখবেন কি ভয়ঙ্কর সেই ইতিহাস।  
মেরুদণ্ডহীন বাঙালি পরিচালকরা যা পারেনি তা করে দেখিয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী।

No comments:

Post a Comment